Posts

Showing posts from July 12, 2014

হস্তরেখা

সজিব খিরাসার মোহনপুর,চান্দিনা,কুমিল্লা,বাংলাদেশ আধ্যাত্মিক ও জ্যোতিষ চিন্তক হস্তরেখা -- হস্তরেখা বিজ্ঞানকে সামুদ্রিক শাস্ত্রও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে হাতের গঠন, আঙুলের আকার-প্রকারের পাশাপাশি হাতের রেখার ভিত্তিতে ভবিষ্যত্‍‌ বিশ্লেষণ করা হয়। মুখ্য রেখাসমূহ -- এই পদ্ধতিতে হাতের সমস্ত রেখার ব্যাপক এবং সূক্ষ্মতার সঙ্গে অধ্যয়ন করা হয়। কিছু মুখ্য রেখা নিম্নে বর্ণিত-- [ जारी है ] জীবন রেখা -- হস্তরেখা বিজ্ঞান বা সামুদ্রিক শাস্ত্রে জীবন রেখাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রেখা মনে করা হয়। কারণ এই রেখার দ্বারাই ব্যক্তির আয়ু, সঙ্কট, দুর্ঘটনা, মৃত্যু সম্পর্কে জানা যায়। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ এবং তর্জনির মধ্যভাগ থেকে বেরিয়ে হাতের নীচের অংশ অর্থাত্‍‌ মণিবন্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত। সুস্থ রেখা ভালো জীবনের ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু ভাঙা, কাটা, অসম্পূর্ণ বা দ্বীপ আছে এমন রেখা ব্যক্তির জীবন সম্পর্কে শুভ সঙ্কেত দেয় না। মস্তিষ্ক রেখা -- জীবন রেখার সঙ্গেই মস্তিষ্ক রেখাও বের হয়। এটি কখনও সোজা বা কখনও নীচের দিকে যায়। কখনও কখনও এই রেখা জীবন রেখার সঙ্গে না-বেরিয়ে একটু ওপরের দিক থেকে বের হয়। এই রেখার সাহায্যে মানসিক ক্ষমতা, বুদ্ধি, যোগ্

হস্তরেখা কাজী সজিব

হস্তরেখা মোহাম্মদ ইসহাক খান মন্টু বসে আছে জনাব হারুন দেওয়ান সাহেবের সামনে। তিনি একজন নামকরা হস্তরেখাবিদ। মন্টুকে এখানে নিয়ে এসেছে তার বন্ধু তপন। তপনের গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে অগাধ বিশ্বাস। তার বিশ্বাস, দেওয়ান সাহেবের পরামর্শ অনুযায়ী হাতে তিন রতি ওজনের হলুদ পাথরটা পড়ার পর থেকেই তার ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবাতাস লেগেছে, কোম্পানির শেয়ারের দাম তরতর করে উঠে গেছে। মন্টুর আগে কখনো এসবে বিশ্বাস ছিল না। তপন বলেছে, একবার ওনার কাছে হাতটা দেখিয়ে দেখ, তিনি তাকিয়ে থেকেই বলে দেবেন তোর অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ। মজা দেখার জন্যই এসেছে সে। ডান হাত বাড়িয়ে দিল সে। আতশ কাচ ধরে ভুরু কুঁচকে দেওয়ান সাহেব হাতের আঁকাবাঁকা রেখাগুলো দেখতে লাগলেন। ক্রমে তাঁর কপালের ভাঁজ প্রশস্ত হল। মন্টুর দিকে তাকালেন তিনি। আপনার আয়ুরেখায় তিন-তিনটা কাটা দেখা যাচ্ছে। অতি নিকট ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে পারেন। সাবধানে থাকবেন। জীবন মরণ সংশয়। আবারো বলি, জীবন মরণ সংশয়। দ্বিতীয়বারে কথাটা অনেক জোর দিয়ে বললেন, তাঁর শ্লেষ্মাজড়িত কণ্ঠস্বর এই আলোআঁধারিতে আরো রহস্যময় শোনাল। কবে নাগাদ বিপদ ঘটতে পারে? ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করলো সে। বেশি ন