হস্তরেখা
সজিব খিরাসার মোহনপুর,চান্দিনা,কুমিল্লা,বাংলাদেশ
আধ্যাত্মিক ও জ্যোতিষ চিন্তক
হস্তরেখা -- হস্তরেখা বিজ্ঞানকে সামুদ্রিক শাস্ত্রও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে হাতের গঠন, আঙুলের আকার-প্রকারের পাশাপাশি হাতের রেখার ভিত্তিতে ভবিষ্যত্ বিশ্লেষণ করা হয়।
মুখ্য রেখাসমূহ -- এই পদ্ধতিতে হাতের সমস্ত রেখার ব্যাপক এবং সূক্ষ্মতার সঙ্গে অধ্যয়ন করা হয়। কিছু মুখ্য রেখা নিম্নে বর্ণিত--
[ जारी है ]
জীবন রেখা -- হস্তরেখা বিজ্ঞান বা সামুদ্রিক শাস্ত্রে জীবন রেখাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রেখা মনে করা হয়। কারণ এই রেখার দ্বারাই ব্যক্তির আয়ু, সঙ্কট, দুর্ঘটনা, মৃত্যু সম্পর্কে জানা যায়। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ এবং তর্জনির মধ্যভাগ থেকে বেরিয়ে হাতের নীচের অংশ অর্থাত্ মণিবন্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত। সুস্থ রেখা ভালো জীবনের ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু ভাঙা, কাটা, অসম্পূর্ণ বা দ্বীপ আছে এমন রেখা ব্যক্তির জীবন সম্পর্কে শুভ সঙ্কেত দেয় না।
মস্তিষ্ক রেখা -- জীবন রেখার সঙ্গেই মস্তিষ্ক রেখাও বের হয়। এটি কখনও সোজা বা কখনও নীচের দিকে যায়। কখনও কখনও এই রেখা জীবন রেখার সঙ্গে না-বেরিয়ে একটু ওপরের দিক থেকে বের হয়। এই রেখার সাহায্যে মানসিক ক্ষমতা, বুদ্ধি, যোগ্যতা, মানসিক স্তর, বৈচারিক ক্ষমতা ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়। এই রেখা যত বেশি নির্দোষ হবে, তত শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়। অর্ধেক বা অসম্পূর্ণ রেখা কম মানসিক ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। নীচের দিকে ঝুঁকে থাকা রেখা ব্যক্তির কলা, সঙ্গীত এবং সাহিত্যে রুচির দিকে ইশারা করে।
হৃদয় রেখা -- কনিষ্ঠার নীচ থেকে শুরু হয়ে তর্জনির দিকে এই রেখা অগ্রসর হয়। এই রেখা আন্তরিক ক্ষমতা, সংবেদনশীলতা, স্বভাব, গুণ, অবগুণ ইত্যাদির ইঙ্গিত দেয়। নীচে ঝুঁকে থাকা রেখা ব্যক্তিকে অন্তর্মুখী, সাহিত্য-সঙ্গীত প্রিয় বা কলা রসিক করে তোলে। আবার ওপরের দিকে এই রেখাটি গেলে তা ব্যক্তির, বহির্মুখী, যান্ত্রিক বিদ্যা এবং মস্তিষ্কের সাহায্যে কাজ করার ক্ষমতাকে প্রকাশিত করে।
ভাগ্য রেখা -- মণিবন্ধ অর্থাত্ হাতের নীচ থেকে বেরিয়ে যে রেখা মধ্যমার কাছে যায়, সেটিই ভাগ্য রেখা। যে ব্যক্তির ভাগ্য রেখা স্পষ্ট, তাঁরা ভাগ্যশালী হয়ে থাকেন। হাতের নীচ থেকে রেখা বেরলে তা পারিবারিক সমর্থনে ভাগ্যোদয়ের ইঙ্গিত দেয়।
Comments
Post a Comment