কুমিল্লার কোন উপজেলার ছেলেরা পাত্র হিসাবে কেমন।

বিয়ের পাত্র হিসাবে কুমিল্লার কোন উপজেলার ছেলেরা কেমন- শীর্ষক ফিচার। এটি মূলত এডমিনদের উন্মুক্ত মতামতের ভিত্তিতে তৈরী, তাই কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য নেই। প্রতিবেদনটি এডমিনদের মতামত থেকে সংগৃহ করে ভাষাগত সম্পাদনা করা হয়েছে মাত্র।
দাউদকান্দি বিয়ের আগে ছেলেরা অনেক টাংকি মারে। তবে বিয়ের পরে বউয়ের প্রেমে মশগুল থাকে। পরকীয়ার সম্ভাবনা কম। বেশিরভাগই পিতার জমি-জায়গা দেখাশোনা করতে পছন্দ করে। পড়ালেখার হার কম। বাইরের কেউ এখানকার ছেলেকে বিয়ে করলে প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হবে। তবে সংসারের প্রতি দায়িত্বশীল। আর এলাকায় প্রচুর মাছ চাষ। এজন্য মাছ নিয়ে ভাবতে হবে না। আর বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ীর সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ এখানকার ছেলেরা সাধারণত পড়ালেখায় আগ্রহী কম, শুধু জায়গাজমির হিসাব করতে বেশি পছন্দ করে। এক একজন অনেক জায়গার মালিক। জায়গা বিক্রি করে তাদের সব প্রভাব হলো পৈতৃকজমিকে নিয়ে। নিজের কিছু করার ইচ্ছে থাকে না। এখানকার ছেলেরা মারাত্মক রোমান্টিক, কিন্তু পরকীয়াও করে না। ছেলেরা যৌথ পরিবারে থাকতে পছন্দ করে। মানুষ খারাপ না।
দেবিদ্বার এখানের ছেলেরা সাদামনের ঠিক ই কিন্তু কৃপন। অনেকেই স্মার্ট নয় বলে এদেরকে পছন্দ করতে চায়না, মফিজ বলে ডাকে অনেকে- আসলে তারা সরল। তবে বিয়ের পাত্র হিসেবে ছেলে হিসেবে এরা মন্দ না। কিন্তু তাদের সবটুকু ভালোবাসা শুধু বউয়ের জন্যই থাকে।
তিতাস  উপজেলার ছেলেরা নামাজি। এই এলাকা সম্পর্কে বেশি বলার নাই, সবাই জানে, তিতাসের  ছেলেরা কেমন। প্রচন্ড স্বার্থপর। তবে নিজের বউয়ের জন্য সাত সাগর পাড়ি দিতে পারে । এই উপজেলার ছেলেরা বেশ কর্মক্ষম, পরিশ্রমী। তাই জীবনে উন্নতি অনিবার্য। এখানকার ছেলেদেরও প্রবাসজীবনের প্রতি ঝোঁক আছে। মানুষগুলো একটু কিপটা স্বভাবের। তবে একবার এডজাস্ট হয়ে গেলে পরে সমস্যা হয় না।
মেঘনা উপজেলার ছেলেরা বিয়ের আগে ভালোই টাংকিবাজ থাকে। বিয়েটা যদি মেঘনার কোনো মেয়ের সাথে হয়, তবে ভাজাভাজি সংসার। এই ছেলে যদি অন্য কোনো উপজেলার মেয়েকে বিয়ে করে, তবে মেয়ের এডজাস্ট করতে অনেক সময় লাগে। মেলামেশার দিক দিয়ে মেয়েদের মতো মেঘনার ছেলেরাও অন্য সব উপজেলার চেয়ে বরাবরের মতো এগিয়ে ।
ব্রাক্ষ্মন পাড়া উপজেলার এইদিকের মানুষগুলো নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। তারপরও বিয়ের পাত্র হিসেবে অন্য উপজেলার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে কম পছন্দের না। হাতে কাঁচা টাকা বেশি। ধর্মভীরু, বউকে পর্দানশীন হিসাবে দেখতে ভালোবাসে। নিজের এলাকার মেয়েদের প্রতি এদের প্রবল আগ্রহ।
কুমিল্লা সদর উপজেলার ছেলেরা একটু অলস টাইপের। সদরের পোলা আশি টাকা তোলা, এমন ভাব আরকি!। তাই সমমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ খুঁজতে হিমশিম খায়। মাথায় প্যাঁচ জিলাপীর থেকেও বেশী । একটা সহজ জিনিসকেও জটিল করে চিন্তা করতে পছন্দ করে এই সদরের ছেলেরা। কিছুটা সন্দেহ বাতিক। তাড়াতাড়ি পয়সা কামানোর ঝোঁক থেকেই শশুরের টাকার নিকে নজর থাকে। ছেলেদের নেতা হওয়ার প্রতি ঝোঁক বেশী।
বুড়িচং এর ছেলেরা মারাত্মক সন্দেহ প্রবণ, সবসময় বউকে চোখে চোখে রাখতে পছন্দ করে। ছেলেদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতাও আছে। তবে ছেলেরা বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ীর সাথে সম্পর্ক ভালো রাখে।মানুষগুলা একটু কিপটা স্বভাবের। একবার এডজাস্ট হয়ে গেলে পরে সমস্যা হয় না। এই উপজেলার ছেলেরা এক নারীতে সন্তুষ্ট নয়। প্রেম করেও একসাথে একাধিক মেয়ের সাথে। বিয়ের পরে পরকীয়ারও চান্স নিতে চায়।
চৌদ্দগ্রাম এর ছেলেরা এইদিকের মানুষগুলো একটা বোকাসোকা টাইপের। কারো সাথে-পাচেও নাই। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে তারপরও বিয়ের পাত্র হিসেবে অন্য উপজেলার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে কম পছন্দের এসব উপজেলার ছেলেরা।
রুক্ষ স্বভাবের; বদমেজাজীও।
বরুড়া উপজেলার ছেলেরা টাউট প্রকৃতির হয়। কিন্তু তাদের সবটুকু ভালোবাসা শুধু বউয়ের জন্যই থাকে।
অলস তবে মন ভাল, ভালবাসা পেলে ভালবাসার জন্য মরতে প্রস্তুত। একসাথে কয়েকটা প্রেম চালায়া যায়; মেয়ে পটাতে ওস্তাদ ... তবে ক্যারেকটার ভালো।
হোমনা উপজেলার ছেলেরা বিয়ের আগে অনেক টাংকি মারে। তবে বিয়ের পরে বউয়ের প্রেমে মশগুল থাকে, খুবই মিশুক আর প্রচুর চালাক আর তারা কথায় বেশ পটু হয় তারা বেশি ভাগই বৌ বাউরা নিজেদের অনেক উচু জাতের মনে করে। তাই সমমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ খুজতে হিমশিম খায়। তবে এই এলাকার মানুষ গুলো সহজ সরল। তারা ব্যবসা ভালো বুঝে
নাঙ্গলকোট উপজেলার ছেলেরা খুবই রসিক মনের হয়ে থাকে। কিন্তু অন্যের জাঁকজমকের প্রতি হিংসা, কটুক্তি প্রকৃতই হয়ে থাকে বেশ। অন্য উপজেলার মেয়েদের চেয়ে স্থানীয় মেয়েদের সাথে আত্মীয়তায় আগ্রহী থাকে। একাধিক প্রেম করে থাকে বিয়ের পরে ভাল হয়ে যায়,বিয়ের পর বঊ ছারা আর কিছুই বুঝেনা,নিজের প্রশংসা বেশিরভাগ নিজেই করে।
মুরাদনগরের ছেলেরা বেশিরভাগেইল কম বয়সেই বিয়ের পিড়িতে বসে বিয়ের পিরবেশী।  সাধারণত নিজ উপজেলার বাহিরে বিয়ে করতে যায় না। আত্মীয়দের মধ্যেই থাকতে পছন্দ করে,। একটু ছ্যাঁচড়া প্রকৃতির হয়
লাকসাম উপজেলার ছেলেরা চরম অলস (খালি ঘুমায়), পরের ধনে পোদ্দারি করতে এদের জুড়ি নাই, একসাথে কয়েকটা প্রেম করে। মেয়ে পটাতে ওস্তাদ আর গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল টাইপ । তবে ক্যারেকটার ভালো। সাহস বেশি। নেতা গোছের পোলাপাইন বেশি দেখা যায়। স্ত্রীদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা যায়।
মনোহরগঞ্জের ছেলেরা ভেড়া টাইপের, বউ সবসময় মাথায় ছড়ি ঘুরায়, বউয়ের প্রেমে পাগল থাকে সবসময়।
তবে ব্যতিক্রমও আছে, যেমন : মনোহরগঞ্জের ছেলেরা বউ মেরে নিজেদের পুরুষত্ব জাহির করে তাই সাবধান!
চান্দিনার ছেলেরা বিয়ের পর বউ ছারা আর কিছুই বুঝেনা,শ্বশুরবাড়ির সাথে খুব ভাল সম্পর্ক,মা বাবার খোজ নেয় প্রতিনিয়ত,কাজের মনযোগী বেশী,লেখা পরাতে একটু অমনোযোগী তারপরও অন্য উপজেলা থেকে শিক্ষার হার পিছিয়ে নেই(সব মিলিয়ে চান্দিনা উপজেলার ছেলেরাই বেষ্ট।

Comments

  1. এডমিন হালায় চান্দিনার

    ReplyDelete
  2. যে হালাশ লিখছে ওই হালা চান্দিনার খেত

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

কুমিল্লার কিছু আঞ্চলিক ভাষা :

চান্দিনা উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ, চেয়ারম্যান সাহেব ও সচিবদের নাম এবং মোবাইল নাম্বার দেওয়া হইল।

অভিনেত্রী নিপুণ,কুমিল্লার মেয়ে।