প্রবাসী জিবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা ... পর্ব ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
দুবাই থেকে ইউরোপের উদ্দ্যেশ্য করে বাইরোডে পথ চলা।
জিবন আর জিবিকা এই দুইটা জিনিসের কারনেই মানুষ মানুষের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায় চলার পথে কত কষ্টই না করতে হয় সামান্য একটু সুখের আশায়,দুবাইয়ে প্রবাসী জিবনে কিছুটা সময় খুব ভালোই কাটতেছিল,কাজের ফাকে বন্ধু বান্দবদের নিয়ে খুব ভালই চলছিল ,হটাৎ একদিন আমার মোবাইলে একটা কল আসে নাম্বারটা সঠিক চিনতে পারিনি,সালাম দিয়ে কথা শুরু করি কিছুক্ষণ কথা বলার পর পরিচয় পেলাম উনি আমার গ্রামের বাড়ির নাম শাহাজালাল,গ্রামে সবাই জালাল নামে চিনে,
একদিন হটাৎ করে জালাল আমাকে কল করে বললো দুবাই থেকে খুব সহজে ইউরোপে লোক নিয়ে যায় আমি তোমার চাচার সাথে কথা বলেছি আমরা গেলে উনি আমাদেরকে সাহায্য করবে তুমি যাবে নাকি?
আমি তেমন কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা আমি কি বলবো যাব কি না ,কিছুক্ষণ চিন্তা করে আমার বড় ভাইকে কল দিলাম আমার ভাই আমার কথায় অমত করলোনা,আমার উপরে ছেরে দিল ভাইয়া বললেন তুর খুশি তুই যদি পারছ যা যত টাকা লাগে আমি দিব টাকার চিন্তা করিসনে ,ভাইয়ার কথাতে আমার সাহস বেরে গেল,তারপর আমি চাচির কাছ থেকে চাচার নাম্বার ব্যাবস্থা করে আমার চাচাকে কল দেই চাচার সাথে প্রায় ৩ বছর কথা বলা হয়না জার্মান থাকে নাম ইদ্রিস,চাচাকে বলি জালাল দুবাই থেকে গ্রীস যাবে আমারও ইচ্ছা আছে জালালের সঙ্গে যাওয়ার আপনি কি বলেন,
চাচা প্রথমে কথায় অমত করলো তুই ছোট মানুষ আসতে পারবি না তুর বয়স কম,আমি চাচার কথা মানতে রাজি না,আমি বলি আমার কোন সমস্যা হবেনা আমি আসতে পারবো আমি আগের মতো ছোট নই এখন আমি অনেক বড়,চাচা কয়েকটি ভয়ংকর দৃশ্য আমার সামনে আমার সামনে তুলে ধরলো যেমনঃ প্রায় তিন মাস অনেক কষ্ট করতে হবে কখনো পায়ে হেটে সিমান্ত ক্রস করতে হবে ,আর ওমান থেকে ইরানে যাওয়ার সময় সিমান্তে পুলিশে গুলি করে মানুষ মেরে ফেলে।
ইরান থেকে তুরস্ক যাওয়ার সময় সিমান্ত থেকে মাফিয়ায় ধরে নিয়ে যায় মোটা অংকের টাকা দাবী করে না দিতে পারলে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে ইত্যাদি।
আমি চাচার কথা না শুনে দালাল ঠিক করে ফেলি জার্মানির উদ্যেশ্যে রওনা দেই প্রথমে দুবাই থেকে ওমান যেতে হবে তাই ওমানের দিকে রওয়ানা দিলাম।
বাস্তব জিবন থেকে লেখা
লেখকঃসজিবুল হাসান সানি
ফেইসবুক. Www.Facebook.com/kazi.shajib.1000
Comments
Post a Comment